বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতি কেজি সারে ৪-৭ টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩০

কৃষকদের অভিযোগ, প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার জন্য সরকার প্রতি এলাকায় ডিলার নিয়োগ করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বিসিআইসি ও বিএডিসির ডিলারদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত দামে সার কেনার কথা খুচরা ডিলার ও প্রান্তিক কৃষকদের। তবে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন তারা। প্রতি কেজিতে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪-৭ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশিতে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসির) ডিলারদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট স্থানে সার বিক্রি না করে বেশি দামে অন্য স্থানে সার বিক্রির অভিযোগও করছেন চাষিরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলাররা বলছেন, নির্ধারিত মূল্যের বেশি বা এলাকার বাইরে গিয়ে কোনো সার বিক্রি করা হচ্ছে না। আর জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, সার কারসাজি এবং কৃষক হয়রানির প্রমাণ পেলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কৃষকদের অভিযোগ, লক্ষ্মীপুরে আমনের ভরা মৌসুমে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। ডিলারর বেশি দামে সার বিক্রির জন্য কৃত্রিম এ সংকট তৈরি করেছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না থাকায় তারা বেশি দামে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার পাঁচ উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন এবং চার পৌরসভায় বিসিআইসি ও বিএডিসির সারের ডিলার রয়েছেন ৯০ জন। আর খুচরা ডিলার রয়েছেন ৪৪৭ জন।

জেলায় এ বছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। সব মিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা প্রায় ৪০ হাজার টন।

কৃষকদের অভিযোগ, প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার জন্য সরকার প্রতি এলাকায় ডিলার নিয়োগ করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বিসিআইসি ও বিএডিসির ডিলারদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত দামে সার কেনার কথা খুচরা ডিলার ও প্রান্তিক কৃষকদের। তবে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন তারা। প্রতি কেজিতে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪-৭ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

চররুহিতার কৃষক তোফায়েল আহমদ, চররমনী মোহনের দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন কৃষক জানান, সরকারনির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা, ডিএপি (ড্যাব) ১৬ টাকা। তবে ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতি কেজিতে ৪-৭ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছেন।

কৃষক ও খুচরা বিক্রেতাদের মতো একই অভিযোগ করেছেন রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ নিজাম।

তিনি বলেন, ‘ডিলাররা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ডিলারের কাছে খুচরা বিক্রেতা ও কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো ডিলার ঠিকমতো কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছে না।’

তবে বড়খেরী এলাকায় বিসিআইসির ডিলার শাখাওয়াত হোসেনের দাবি, নির্ধারিত মূল্যের বেশি এবং এলাকার বাইরে গিয়ে কোনো সার বিক্রি করা হচ্ছে না। সরকারনির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্রের শিকার।

জেলায় বিসিআইসি ও বিএডিসির একাধিক ডিলারও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে অনেক কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও সার কারসাজি ও কৃষকদের হয়রানির প্রমাণ পেলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর