দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৯০ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে গত ২৯ মে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৪ জনের দেহে। এরপর শনিবার প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংখ্যাটি গত ১১২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৮২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও নারী ১৯ জন। ওই সময়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি শিশু আছে। বাকিদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৬, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭, ষাটোর্ধ্ব ৮, সত্তরোর্ধ্ব ৫ ও অশীতিপর ৭ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহী ও খুলনায় ৩ জন করে ৬ জন, বরিশালে ১, সিলেটে ২ ও রংপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৪৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়।
এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে পরিচিত বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো দেশে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকে, আর সেটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একই পরিস্থিতিতে থাকে, তাহলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরে নেয়া যায়।