প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল কিশোরী। সেই প্রেমিক তাকে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রেখে পালিয়ে যান; সঙ্গে নিয়ে যান মেয়েটির টাকা ও মোবাইল ফোন। এখন পরিবার মেয়েটি ফেরত নিতে রাজি না। থানায় বসে আশ্রয়ের অপেক্ষায় আছে কিশোরী।
ঘটনাটি নওগাঁর আত্রাইয়ের। ওই কিশোরী এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তার বাড়ি ফরিদপুরে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাজিবুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরীর বরাতে ওসি জানান, মো. রাজীব নামের এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে গত এক সপ্তাহ আগে নওগাঁর আত্রাইয়ে নিয়ে আসেন রাজীব। ঢাকায় নেয়ার কথা বলে শুক্রবার রাতে নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালিয়ে যান তিনি।
ওই কিশোরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে বিয়ের কথা বলে রাজীব নওগাঁর আত্রাইয়ে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর নওগাঁ সদর উপজেলার একটি কাজি অফিসে আমাদের বিয়েও হয়। বিয়ে করে এক সপ্তাহ তার বাড়িতে ছিলাম। সেখানে তার পরিবারের কোনো সদস্য ছিল না। আমি জানতে চাইলে সে বলে আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই ঢাকায় চাকরি করে। সেখানেই তোমাকে নিয়ে যাব।
‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাকে ঢাকা নেয়ার কথা বলে বাসস্ট্যান্ডে আনে, কিন্তু আমাকে রেখে বাসের টিকিট কাটতে যাবে বলে আর ফিরে আসেনি রাজীব। আমি আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। আমার ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল ফোন, টাকা ও কাপড় সবকিছু রাজীবের বড় ব্যাগে ছিল। বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি দোকান থেকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাই।’
বাসস্ট্যান্ড এলাকার মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিলে স্থানীয় মোবাইল রিচার্জের দোকান থেকে ফোন দেয়। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।’
ওসি রাজিবুল জানান, থানায় নেয়ার পর রাতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে যায়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ায় সে সুস্থ আছে। তাকে আবার থানায় নেয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ‘তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে স্বজনরা তাকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানান। মেয়েটিও বসে কান্নাকাটি করছে। আমরা তার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। ওই যুবককেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’