গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন তার স্বামী। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছে ওই ব্যক্তি।
নিহত নারীর নাম কাকলি রানী মহন্ত। সদর হাসপাতালে সকাল ৮টায় তার মরদেহ রেখে চলে যান স্বামী কল্লোল চন্দ্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ও সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহতের বড় ভাই মনোরঞ্জন মহন্ত নিউজবাংলাকে জানান, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কল্লোল ও কাকলির। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য কাকলিকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কল্লোল মাদক ও জুয়ায় আসক্ত ছিলেন।
মহন্তের অভিযোগ, শুক্রবার রাতেও টাকা চেয়ে তা না পাওয়ায় কাকলিকে মারধর করেন কল্লোল। এক পর্যায়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। শনিবার সকালে মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান কল্লোল।
মহন্ত বলেন, 'আমার বোনকে সারা রাত মারছে টাকার জন্য। ও (কল্লল) নেশা করে। জুয়া খেলে। টাকার জন্য বোনটাকে এভাবে মেরে ফেলবে আমরা বুঝতে পাই নাই।'
সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, সকালে স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, মৃত জানার পর ওই নারীর স্বামী কৌশলে পালিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে ওই নারীর বাবা ও ভাই গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
ওসি প্রদীপ জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। নিহতের পরিবারও মামলা করবে বলে জানিয়েছে।