বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্বের যেকোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুরে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের দ্বিতীয় কার্গো গেটের নির্মাণ কাজ এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই এ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও দ্বিতীয় কার্গো গেট উদ্বোধন করেন। এ দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশে যাতায়াতকারী এবং আমদানি-রপ্তানিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক গভীর এবং কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যেকোনো প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদী মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্কের যে গোড়াপত্তন করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তা আরও সুসংহত ও বহুমুখী করেছেন।
‘তারই হাত ধরে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, ট্রানজিট সুবিধা ও সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভ্রমণ, ব্যবসা ও চিকিৎসার জন্য ভারতে যায় জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতে যাওয়ার প্রধানতম প্রবেশদ্বার হচ্ছে বেনাপোল আর ওপারে পেট্রাপোল। ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবা দেয়ার জন্য পেট্রাপোলে আরেকটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান, শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।