বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কাস্টমারের অর্ডার সরবরাহ করতে হলে রাসেলদের মুক্ত হতে হবে’

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৩৩

আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘অন্য গ্রাহকের যে অর্ডার রয়েছে সেটি অবশ্যই সরবরাহ করবে বা পণ্য দিয়ে দেবে। এজন্য তো তাদের ফ্রি হতে হবে। ফ্রি না হলে কোনো কাস্টমারের অর্ডার তারা সরবরাহ করতে পারবেন না। তাদের ফ্রি করে দেন। এরপর যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তাদের মামলা চলতে পারে।’

তিন লাখ গ্রাহকের অর্ডার সরবরাহ করেছে ইভ্যালি। অন্য গ্রাহকের যে অর্ডার রয়েছে সেটি অবশ্যই সরবরাহ করবে তারা। এজন্য ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের মুক্তি দরকার। তারা মুক্ত না হলে কোনো কাস্টমারের অর্ডার সরবরাহ করতে পারবেন না।

শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন রাসেল ও নাসরিনের আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান আসাদ।

এদিকে আদালত রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

এর আগে এদের দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওহিদুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, ‘২৯ মে ইভ্যালি চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেয়। ওই বিজ্ঞাপন দেখে এ মামলার বাদী আরিফ বাকের ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেন। সাত দিনের মধ্যে সেটি পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটা করেনি।

‘অনলাইনে ব্যবসার নাম করে তারা মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু পণ্য দেয় না। তারা চিট করে। এ সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি। বাদী টাকা চাইলে না দিয়ে তাকে হুমকিধামকি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। এ কাজে শুধু এ দুই আসামিরা না, অন্যরাও জড়িত। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

আসামিদের পক্ষে এম মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি পণ্যের অর্ডার নেয়। এরপর তারা পণ্যটি উৎপাদনের জন্য অন্য কোম্পানির কাছে অর্ডার দেয়। তারা নির্দিষ্ট সময়ে অর্ডার কমপ্লিট করতে পারেনি। এ কারণে ইভ্যালি নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সরবারহ করতে পারেনি। এ মামলার বাদী টাকা চাইতে গেলে টাকা দেয়নি এটা অস্বীকার করছি না।

‘কিন্তু তারা যে টাকা দিবে না এটা তো কখনও বলিনি। তিন লাখ গ্রাহকের অর্ডার তারা সরবরাহ করেছে। উৎপাদিত কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ে অর্ডার কমপ্লিট করতে পারেনি। এজন্য ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ করতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য গ্রাহকের যে অর্ডার রয়েছে সেটি অবশ্যই সরবরাহ করবে বা পণ্য দিয়ে দেবে। এজন্য তো তাদের ফ্রি হতে হবে। ফ্রি না হলে কোনো কাস্টমারের অর্ডার তারা সরবরাহ করতে পারবেন না। তাদের ফ্রি করে দেন। এরপর যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তাদের মামলা চলতে পারে।’

আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান জানান, শামীমা নাসরিনের শিশু সন্তান রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে রিমান্ড বাতিল করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘তারা পণ্যের জন্য টাকা নিয়েছে। অথচ পাঁচ মাসেও পণ্য পৌঁছে দিতে পারেনি। টাকা ফেরত চাইলে গেলে সেটি নিয়ে হুমকি দিল। এভাবে তারা হাজার হাজার গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন, যা আগামি পাঁচ কার্যদিবসে শেষ করতে বলা হয়ছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রাসেল ও শামীমাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর