নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালানোর সময় তিন দালালসহ আরও ২৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আটককৃত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ২৬ জনকে স্বর্ণদ্বীপের চর থেকে আটক করা হয়। ওই রাতেই চেয়ারম্যান ঘাটের পাশের চতলার ঘাটের জঙ্গল থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলো ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ১১ নম্বর ক্লাস্টারের রহিম, তার স্ত্রী নুর বাহার ও সন্তান শওকত আরা, আয়শা, তোফায়দুল ও মরিয়ম, ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের জলিলুর রহমান, তার মেয়ে ফাতেমা, নুর হোসেন।
১০ নম্বর ক্লাস্টারের জাহেদ হোসেন, তার স্ত্রী মিনারা বেগম, তার মেয়ে নুর সাহারা, নুর কলিমা, নুর ফাতেমা, খায়ের হোসেন, হামিদা বেগম, মোস্তফা কামাল, নুর ফাতেমা ও মুবিনা খাতুন।
৭ নম্বর ক্লাস্টারের রয়েছে ওমর হামজা, শাহিনা আাক্তার, রুহুল আমিন, আক্তার উল্যা, তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার, সাদেকা বিবি ও হায়দারা বিবি।
আটক দালালরা হলেন হাতিয়ার চৌধুরী গ্রামের হানিফ, রেহেনীয়া গ্রামের শামীম ও চরগেসিয়া গ্রামের শামীম।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় ১০ শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যান ঘাটের পাশের চতলার ঘাটের জঙ্গল থেকে তাদের আটক করেন। পরে তাদের ঘাটের পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়।
নিউজবাংলাকে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, দালাল চক্রের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ১০ শিশু ও ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা নৌকায় পালানোর চেষ্টা করে। রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান ঘাটের পাশে চতলা ঘাটের একটি জঙ্গলের তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যায় নৌকাটি। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে ঘাটের পুলিশ ফাঁড়িতে নেন।