খুলনার লবণচরায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজের ম্যানেজার মো. শামীমকে ২০০ টাকা নিয়ে বিরোধে হত্যা করা হয় বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি।
আসামি আরাফাত হোসেন বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে হত্যার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আরাফাতকে লবণচরার মোহাম্মদনগর এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) শুক্রবার এসব তথ্য জানায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে হত্যার শিকার শামীমের দুটি মোবাইল ফোন ও চুরি করা ২১ হাজার ৩৭১ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শামীম ও আরাফাত খুলনার মেসার্স সোহেল অ্যান্ড রিফাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। আরাফাত প্রতিষ্ঠানটির কোকাকোলা পানীয় সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। আর শামীম ছিলেন সোহেলের অটোরিকশা গ্যারেজের ম্যানেজার।
এর মধ্যে গত সোমবার আরাফাতকে চাকরিচ্যুত করে শামীমকে দুটি ব্যবসা দেখার দায়িত্ব দেন সোহেল। এ নিয়ে আরাফাত শামীমের ওপর কিছুটা ক্ষিপ্ত ছিলেন।
আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদক কেনার জন্য শামীম আরাফাতকে ২০০ টাকা দেন। তবে আরাফাত হোটেলে খেয়ে সেই টাকা খরচ করে ফেলেন। এ নিয়ে আরাফাত ও শামীমের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শামীম তাকে মারধর করেন।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদনগর বাবলু সড়ক এম আর এন্টারপ্রাইজ অটো চার্জিং পয়েন্টে গিয়ে শামীমকে ঘুম থেকে উঠিয়ে আরাফাত জানান, তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন না, শামীমের সঙ্গে ঘুমাবেন। পরে তারা দুজন একসঙ্গে শুয়ে পড়েন। শামীম ঘুমিয়ে গেলে আরাফাত তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, শামীমকে হত্যার পর তার দুটি মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা চাবি নিয়ে রিফাত অ্যান্ড সোহেল এন্টারপ্রাইজের শাটারের তালা খুলে ২১ হাজার ৩৭১ নিয়ে পালিয়ে যান আরাফাত।