বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাণিজ্য সুবিধা ১২ বছর বহালে সব এলডিসির সমর্থন চান বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:১৮

আঙ্কটাড অধিবেশনে কোভিড প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ট্রেড, ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী দশ বছরের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। এ বাস্তবতায় ওই অধিবেশনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সদস্যদের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার কাছে পাওয়া চলমান বাণিজ্য সুবিধা ১২ বছর বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা সমর্থনে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সহজ উত্তরণের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষে আরও ১২ বছর বাড়তি বাণিজ্য সুবিধা দাবি করা হয়।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেনেভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (আঙ্কটাড) সচিবালয়ের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে দেয়া বক্তব্যে টিপু মুনশি এ আহ্বান জানান।

আঙ্কটাড জাতিসংঘের আন্তরাষ্ট্রিক একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে।

৩ থেকে ৭ অক্টোবর ভার্চুয়ালি আঙ্কটাডের ১৫তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ পরবর্তী এ অধিবেশন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আঙ্কটাডের অধিবেশনে কোভিড প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ট্রেড, ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী দশ বছরের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। এ বাস্তবতায় ওই অধিবেশনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের এ সন্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এলডিসি বাণিজ্য মন্ত্রীদের এ সন্মেলনে বাংলাদেশের দেয়া প্রস্তাবসহ একটি ‘মিনিস্ট্রেয়াল ডিক্লারেশন’ ঘোষিত হয়।

সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, ট্রিপস ওয়েভার কাজে লাগিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। ডব্লিউটিও ‘হংকং মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা এবং ‘নাইরোবি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী এলডিসির জন্য প্রেফারেন্সিয়াল রুলস অব অরিজিন উন্নত দেশগুলোকে দেয়া হবে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো ও কাঠামোগত উন্নয়নে আঙ্কটাডকে কার্যকর সহযোগিতা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, করোনার কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্জিত অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ এর অভিঘাত, ডিজিটাল ডিভাইড, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবিলার জন্য চলমান ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্সসহ (আইএসএম) যুগোপযোগী আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে টেকনোলজি ট্রান্সফার এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সহায়তা দিতে হবে। আগামীতে অনুষ্ঠেয় আঙ্কটাড-১৫, এমসি-১২, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন ও এলডিসি-৫ সন্মেলন ও কার্যক্রম গুলো বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এলডিসি ও গ্রাজুয়েটিং এলডিসির স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো কার্যকর ভাবে উপস্থাপনে আঙ্কটাডকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর