বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে স্কুলের মাঠে গাছ রোপণ

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:১১

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘এই মাঠ স্কুলের নামে রেকর্ড করা সম্পত্তি। নিয়মিত এই জমির খাজনা দেয়া হয়। আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্কুলের মাঠকে নিজের সম্পত্তি দাবি করে পুরো মাঠে গাছ লাগানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন গোপালপুর পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ লাগানোর বিষয়টি সবার নজরে আসে। গাছের চারপাশে দেয়া হয়েছে বেড়া।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বাড়ৈ নিউজবাংলাকে জানান, দুই-তিন মাস আগে স্কুলের মাঠে বালু ভরাট করার সময় গোপালপুর গ্রামের উপেন্দ্রনাথ টিকাদার এই জায়গা তার পৈতৃক সম্পত্তি বলে বাধা দেন। চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বালু ভরাটের কাজ শেষ হয়।

স্কুল খোলার দিন দেখা যায়, মাঠে কারা যেন মেহগনি, কলাগাছসহ কয়েক ধরনের গাছ লাগিয়ে চারদিকে বেড়া দিয়ে দিয়েছে।

তাপস বলেন, ‘পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পারি উপেন্দ্রনাথ টিকাদার লোকজন নিয়ে রাতে এগুলো লাগিয়ে গিয়েছেন। আমি ১৫ বছর ধরে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছি। এতদিন এই মাঠ কেউ নিজের বলে দাবি করেননি।

‘এই মাঠ স্কুলের নামে রেকর্ড করা সম্পত্তি। নিয়মিত এই জমির খাজনা দেয়া হয়। আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

১৯৫৮ সালে গোপালপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ শ। এখানে ১৯৯০ সাল থেকে ইংরেজি পড়ান দেশবন্ধু বিশ্বাস। তিনি জানান, হঠাৎ করেই উপেন্দ্রনাথ টিকাদার মাঠটি তার নিজের বলে দাবি করছেন।

এই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী মিষ্টি বাইন বলে, ‘ভেবেছিলাম অনেকদিন পর স্কুলে এসে বান্ধবীদের নিয়ে মাঠে ঘুরব আর খেলব। আসার পর দেখি মাঠে শুধু গাছ আর গাছ। খেলার কোনো জায়গা নেই।’

উপেন্দ্রনাথের দাবি, মাঠটি তার পৈতৃক সম্পত্তি। স্কুলের নামে কীভাবে রেকর্ড হলো তা তার জানা নেই। তিনি এই মাঠের জন্য মামলাও করেছিলেন। তবে রায় তার পক্ষে আসেনি।

তিনি বলেন, ‘আগে যখন মাঠে বালু ভরাট করেছে তখন আমার পক্ষে লোকজন ছিল না। সে জন্য বাধা দিতে পারিনি। এখন আমার পেছনে লোক আছে। তাই বাধা দিয়েছি।

‘স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার কথা জানালেও কোনো সমাধান না করায় আমি বেড়া দিয়ে গাছ লাগিয়ে দিয়েছি।’

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুষেন সেন জানান, তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ জালাল বিষয়টি ইউএনও একেএম হেদায়েতুল ইসলামকে জানিয়েছেন।

ইউএনও জানান, তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন। সবার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর