বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘রাসেল ভাই গ্রেপ্তার হলে আমার বাইক দেবে কে?’

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৪৬

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যে গ্রাহকের মামলায় রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি ভুয়া গ্রাহক। প্রকৃত গ্রাহক তারাই। ইভ্যালির বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। ইভ্যালিকে তারা সময় দিতে চান।

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন নুরুল হক। নিজেকে ইভ্যালির প্রকৃত গ্রাহক দাবি করে বলেন, ‘এই মাসের ২৮ তারিখ আমার অর্ডার করা বাইক দেয়ার কথা ছিল। রাসেল ভাই গ্রেপ্তার হলে আমার বাইক দেবে কে?’

শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে রাজধানীর শাহবাগে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক এবং বিক্রেতারা রাসেল ও শামীমার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় কর্মসূচিটি।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া নুরুল হক আরও বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। দামি পণ্য কেনার সুযোগ আমাদের নেই। তাই ছাড় পেয়ে বাইক কেনার অর্ডার করেছিলাম।’

কয়েক দফা স্থান বদলের পর জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে রাসেলের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ এসে কয়েকবার সরিয়ে দিলেও তারা আবারও জমায়েতের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় লাঠিচার্জেরও শিকার হন কয়েকজন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যে গ্রাহকের মামলায় রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি ভুয়া গ্রাহক। প্রকৃত গ্রাহক তারাই। ইভ্যালির বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। ইভ্যালিকে তারা সময় দিতে চান।

কামাল উদ্দীন নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ইভ্যালিতে আমার আট লাখ টাকা আটকে আছে। আমি তো কোনো অভিযোগ করিনি। ইভ্যালির রাসেল ভাই আমাদের কাছে ছয় মাস সময় চেয়েছে। আমরা সবাই সময় দিতে রাজি।’

নুরুল ইসলাম নামের আরেক গ্রাহক বলেন, ‘ইভ্যালিতে আমাদের ইনভেস্টের টাকার দায় রাসেল ভাই ছাড়া কেউ নেয়নি। এখন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমরা এতিম হয়ে গেলাম। আমাদের টাকা কে দেবে? সরকার কী আমাদের টাকা ফেরত দেবে? আমরা রাসেল ভাইয়ের মুক্তি চাই।’

সাইফুল নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘সরকার এতদিন কই ছিল? একটা গ্রাহকের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ ইভ্যালির গ্রাহক ৮০ লাখ। এটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। রাসেলকে যদি আটকে রাখা হয়, তাহলে সরকারকে আমাদের টাকার দায় নিতে হবে।’

তাহমিদ নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমি এই ইভ্যালিতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৭০ লাখ টাকা লাভ করেছি। কেউ বাপের সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যবসা করে না। সে ব্যাংক লোন করে। ১০০ কোটি কেন, হাজার কোটি টাকাও দেনা থাকে। এটি ব্যবসার নিয়ম। এ ধরনের দায় বা ঋণ হাশেম গ্রুপ বা বেক্সিমকো গ্রুপেরও আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর