রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে এবার জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রা রাখার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুক্রবার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মাদক মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার নুরুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হয়।
এদিন জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রা রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম কিবরিয়া নুরুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ডে চান।
নুরল ইসলামের আইনজীবী মিরাজ হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর বিরোধীতা করেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নুরুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নুরুল ইসলামের আইনজীবী মিরাজ হোসেন।
এর আগে মাদক মামলায় বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নুরুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট, মিয়ানমারের ৩ লাখ ৮০ হাজার মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা জব্দ হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর নায়েক সুবেদার ফিরোজ খান মোহাম্মদপুর থানায় মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার নুরুল ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে কম্পিউটার অপারেটর থাকার সময় নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালির কৌশল রপ্ত করে। পরে তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সিন্ডেকেট গড়ে ওঠে। এসব করে গত ২০ বছরে তিনি ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যান।