বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাশ ছাড়া কবর দাবি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:১৮

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল, এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ এমনকি কোনো ছবিও নাই। জিয়ার লাশ না থাকার পরেও সেখানে অন্য কারো লাশ দাফন করে জিয়ার কবর বলে প্রচার, এটা যেমন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, তেমনি এটি ইসলামের নিয়মরীতি বিরুদ্ধ। এই দুটি কাজই বিএনপি করছে।’

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ না থাকার পরেও সেখানে অন্য কারো লাশ দাফন করে এটিকে জিয়ার কবর বলে প্রচার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ ঘটনাকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বলে মত দিয়েছেন।

জিয়ার মরদেহ না থাকার পরেও তা প্রচার করায় বিএনপি ইসলামের নিয়মনীতি বিরুদ্ধ কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল, এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ এমনকি কোনো ছবিও নাই। জিয়ার লাশ না থাকার পরেও সেখানে অন্য কারো লাশ দাফন করে জিয়ার কবর বলে প্রচার, এটা যেমন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, তেমনি এটি ইসলামের নিয়মরীতি বিরুদ্ধ। এই দুটি কাজই বিএনপি করছে।

‘১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তাকে সমাহিত করা হয় সেখানেই। পরে সেখান থেকে সরিয়ে জিয়ার দেহাবশেষ চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাহিত করার কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। দেহাবশেষ কফিনে আনা হয়েছিল, কিন্তু কফিনের মুখ তখন খোলা হয়নি।’

বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনা সভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীও। জানান, চন্দ্রিমায় জিয়াউর রহমানের কোনো মরদেহ নেই। এটা বিএনপিও জানে।

এরপর থেকেই সরকারদলীয় বিভিন্ন মন্ত্রী ও সাংসদ বিষয়টি নিয়ে সরব হন। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সবশেষ সংসদ অধিবেশনেও বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বাদানুবাদে জড়ান। বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ বরাবরই তা নাকচ করে আসছে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশ তো কেউ দেখেনি। বিএনপিও প্রমাণ করতে পারবে না যে বাক্সটি চন্দ্রিমা উদ্যানে কবর দেয়া হয়েছিল, সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল।

‘আমি তো চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মানুষ। যেখানে জিয়াউর রহমানকে প্রথম সমাহিত করা হয়েছিল বলে বলা হয়, বিএনপি দাবি করে। সেখান থেকে তিনজনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছিল। তিনজনেরই লাশ দেখেছিলেন, সেই ইউনিয়নের তখন যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তারা কেউ জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেননি।

তিনি বলেন, ‘কাজেই যে লাশটি দাফন করা হয়েছিল, সেটি জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না, এটি এরশাদ সাহেব জীবদ্দশায় বলে গেছেন। যারা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যাদের জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন, পরে মন্ত্রীও ছিলেন, তারাও বলেছেন তারা জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেননি।

‘যেখানে তার লাশই নাই, সেখানে তার কবর রাখার যৌক্তিকতা কী, এটিই জনগণ প্রশ্ন তুলেছেন,’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় বিরোধী দলকে আওয়ামী লীগ দমন করছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তা ‘হাস্যকর’ বলে নাকচ করে দেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকে কখনও অর্থাৎ বিরোধী দলকে দমন করার রাজনীতি করে না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তাতে যদি বিরোধী দল দমন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে, তাহলে দেশে কোনো ফৌজদারি আইন কার্যকর করা যাবে না।

‘পেট্রলবোমা যারা নিক্ষেপ করে এবং যারা নানা ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হয়, তাদের পক্ষে যদি বিএনপি অবস্থান নেয়, তাহলে দেশে কোনো ফৌজদারি অপরাধের বিচারও করা যাবে না, ব্যবস্থাও নেয়া যাবে না। বিএনপির এ বক্তব্যগুলো হাস্যকর।’

এ বিভাগের আরো খবর