বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেট্রোরেলের মালামাল বিক্রি হচ্ছিল ভাঙারির দোকানে

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০৯

মেট্রোরেল প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরির অপরাধে একটি চক্রের হোতাসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের কাজে ব্যবহৃত ১ হাজার ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল ও ৩টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরি করে সেগুলো কেটে বেচার উপযোগী করে বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করা হতো। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে একটি চক্র এমন কাজ করে আসছিল।

মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরির অপরাধে ওই চক্রের হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন, চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেন, তার সহযোগী দুলাল হোসেন, হাসমত বেপারী, রবিন ও আনোয়ার হোসেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের কাজে ব্যবহৃত ১ হাজার ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল ও ৩টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

এই চক্র কিছুদিন আগেও মেট্রোরেল প্রকল্পের ২ টন মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্লবী থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এডিসি আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ চুরি যাওয়া মালামালের বিষয়ে অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে পল্লবীর সিরামিক রোড এলাকা থেকে দুলাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের সঙ্গে অন্য কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরিফুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মেট্রোরেলের মালামাল চুরি শুরু হয়েছে। পল্লবীর মেট্রোরেল ৮৪ নম্বর পিলার থেকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার ২৪৭ নম্বর পিলারের এলাকায় এই চুরি হয়েছে।

কী পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের দুই টন মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুটি ভাঙারির দোকান থেকে জব্দ করা মালামাল উদ্ধার করা হয়।’

এডিসি আরও বলেন, ‘চক্রটি আগেও মেট্রোরেলের মালামাল চুরি করেছে। তাদের সঙ্গে অন্য কোনো চক্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ ছাড়া আসামিদের কাছ থেকে অন্য কোনো বড় কোম্পানি চুরি হওয়া মাল ক্রয় করছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহ আগেই মেট্রোরেলের মালামাল পাহারা দেয়ার জন্য আলাদা ফোর্স দেয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা আলাদা ফোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর