নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রীরা উদ্ধার হলেও গ্রেপ্তার সেই শিক্ষকরা এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নাছির উদ্দিন শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার চার শিক্ষক হলেন গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার দারুত তাক্বওয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসার মোহতামিম আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন।
এসপি জানান, ছাত্রীরা উদ্ধার হওয়ায় মামলা থেকে মানব পাচারের ধারাটি উঠে গেলেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ থাকায় শিগগিরই শিক্ষকদের মুক্তি হচ্ছে না। আবাসিক মাদ্রাসা থেকে তিন ছাত্রী পালানোর ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বের অভাব পাওয়া যায়। মাদ্রাসাটির সব কার্যক্রমই ধীরে ধীরে তদন্ত করা হবে।
ছাত্রীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত শনিবার আসাদুজ্জামানের স্ত্রীর ১ হাজার টাকা হারিয়ে গেলে তারা মীম আক্তার, মনিরা ও সূর্যবানুকে সন্দেহ করেন। এ কারণে এবং মাদ্রাসায় থাকতে ভালো না লাগায় রোববার রাতে ওই তিন ছাত্রী জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। ট্রেনে তারা তিনজন ঢাকায় পৌঁছায়।
স্টেশনে তাদের পরিচয় হয় রাজা মিয়া নামের এক রিকশাচালকের সঙ্গে। নিজেদের এতিম বলে পরিচয় দিলে রাজা তাদের মুগদা থানার মান্ডা বস্তিতে নিয়ে গিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। একজনকে একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুযোগও করে দেন।
তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে বুধবার রাতে মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন মানব পাচারবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় চার শিক্ষককে। বন্ধ করে দেয়া হয় ওই মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম।
ওই শিক্ষকদের বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করে আদালত।
এরই মাঝে মান্ডার ওই বস্তি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিখোঁজ তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসপি বলেন, ‘একজন শিশুকে কোনোভাবেই গার্মেন্টসে কাজে নেয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ওই গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিশু অধিকার আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’