করোনা সংক্রমণ কমে আসায় বাংলাদেশের ওপর জারি রেড অ্যালার্ট তুলে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। তা কার্যকর হলে দেশটি সফরে যাওয়া বাংলাদেশিদের আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সুখবর। বর্তমানে দেশে কয়েক হাজার ব্রিটিশ নাগরিক আটকে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশিরা তাদের প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যে যেতে পারছেন না। যারা যাচ্ছেন তাদের কয়েক লাখ টাকা খরচ করে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। রেড অ্যালার্ট তুলে নিলে তাদের আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। আজই এই ঘোষণা আসবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরে সে দেশের কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলেছি। সে দেশের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদের বলেছি, বাংলাদেশ ব্রিটেনের ৫০ বছরের পুরোনো বন্ধু। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর বছরে বাংলাদেশের ওপর এমন বিধিনিষেধ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমার কথা রেখেছে। বাংলাদেশকে নরমাল ক্যাটাগারিতে আনা হচ্ছে। এ জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
কূটনৈতিকরা বলছেন, বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত থাকলেও ভারত, নেপাল ও ভূটানকে রেড অ্যালার্টে রাখেনি যুক্তরাজ্য। তাই এটিকে রাজনৈতিক চাপ হিসেবে দেখছে ঢাকা।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রতিবার যুক্তরাজ্যে বিশ্রাম নেন। এবার তিনি ফিনল্যান্ডের বিশ্রাম নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত লন্ডনকে কড়া বার্তা দিয়েছে বলেই তারা দ্রুত এই তালিকা হালনাগাদের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত সপ্তাহে লন্ডন সফর থেকে ফিরে ব্রিটিশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
সবশেষ গত রোববার রাজধানীর এক হোটেলে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশকে ব্রিটেনের লাল তালিকায় রাখা যুক্তিসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।