বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজারে শীতের সবজি, দাম আকাশছোঁয়া

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৬

তুলনামূলক কম দাম শীতের আগাম সবজি মুলার। ছোট আকারের মুলা খুচরায় কেজি ৩০ টাকা আর বড় আকারের মুলা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারে উঠেছে শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি ও পাতাকপি। তবে এই সবজিগুলোর আকাশছোঁয়া দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানিরা। কেজি হিসেবে সবজি তিনটির দাম পড়ছে দেড় শ টাকার কাছাকাছি। তবে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ এখন খুব কম।

শীতের সবজি ছাড়া এই মৌসুমের সাধারণ সবজির দামও চড়া। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মোহাম্মদ জুয়েল জানান, বাজারে এখন দেশি শীতের সবজি মাত্র চারটি। শিম, ফুলকপি, পাতাকপি আর মুলা। সবজিগুলো মাত্র বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই এগুলোর দাম একটু বেশি।

দুই সপ্তাহ আগেও শিমের দাম ছিল ১৬০ টাকা কেজি। এখন তা কমে ১২০ টাকায় নেমেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না হলেও পাইকারিতে প্রতিটির দাম পড়ছে প্রায় ৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। চার থেকে পাঁচটায় এক কেজি হবে। তবে এগুলো তাজা না হলে একটু কম দামেও পাওয়া যাচ্ছে।

টম্যাটোর পাইকারি বিক্রেতা পাভেল বলেন, ‘দেশি টম্যাটো এখনও বাজারে আসেনি। বাজারে যা দেখতাছেন সবই আমদানি করা। ভালো ও বড়গুলো পাইকারিতে কেজি ৮০ টাকা। একটু ছোট হলে ৭০ থেকে ৭২ টাকা। আমগো কাছ থেকে নিয়ে খুচরায় ১০০ টাকা বিক্রি করতেছে।’

একই অবস্থা শীতের সবজি গাজরের। বাজারে এখনও দেশি গাজর আসেনি। আমদানি করা বড় আকারের গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

তুলনামূলক কম দাম শীতের আগাম সবজি মুলার। ছোট আকারের মুলা খুচরায় কেজি ৩০ টাকা আর বড় আকারের মুলা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারের গত সপ্তাহে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

আর দেশি রসুন ৫৫ থেকে ৭০ এবং আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ রানা জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে পাল্লায় (৫ কেজি) ১৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে এলাকাভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে। ফরিদপুরের পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার দাম ১৮৫ টাকা কিন্তু পাবনার পেঁয়াজ নিতে হলে ২০০ টাকা দিতে হবে।

বেশ কিছুদিন ধরেই মুরগির দাম চড়া বলে জানালেন বিক্রেতা মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় কাস্টমার কমে গেছে সোনালি মুরগির।’

অন্য মাংসের মধ্যে গরুর কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তেলের বাজার আগে থেকেই চড়া। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে কমপক্ষে ১৫৩ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ১৩০ টাকা, পাম অয়েল ১২০ থেকে ১২৮ টাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর