বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপর্যস্ত ড্রেনেজব্যবস্থায় বিপাকে ঝিনাইগাতীবাসী

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৩

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুধু মধ্যবাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই ড্রেনেজব্যবস্থায়। জমে থাকা পানির জন্য ভালোমতো দোকান চালাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের ড্রেনেজব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নন উপজেলাবাসী। সামান্য বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ধীরে ধীরে সড়কের পানি কমলেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পানিতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শহরবাসী।

স্থানীয়রা জানান, শেরপুর থেকে গজনী অবকাশ পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটিই ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক। অথচ এই সড়কের দুই পাশের ড্রেনেজব্যবস্থা বিপর্যস্ত। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কসহ থানা মোড় থেকে শিমুলতলী হাসপাতাল এবং মধ্যবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকছে পানি।

দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনের সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুধু মধ্যবাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই ড্রেনেজব্যবস্থায়। জমে থাকা পানির জন্য ভালোমতো দোকান চালাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের ড্রেনেজব্যবস্থার অব্যবস্থাপনায় বিপাকে এলাকাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

ড্রেন থেকে ছড়ানো আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকমুখ চেপে বাজারে আসেন ক্রেতারা। উপজেলা প্রশাসনের কাছে কয়েকবার আবেদন করেও তারা পাচ্ছেন না প্রতিকার। শিগগিরই এ সমস্যা থেকে মুক্তি চান তারা।

শুক্রবার দুপুরে মধ্যবাজার এলাকায় বাজার করতে আসেন সদর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে হাঁটতেই পারি না। সব জায়গায় পচা প্যাক (কাদা), আর পচা পানি। এল্লে (এগুলো) পারাইলে পায়ের মধ্যে গাও (ঘা) অইয়ে যায়। পাও সাবান দিয়ে দুইলেও গন্ধ যায় না। আমরার কষ্ট কেউ দেহে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে আইলে গন্ধে পেট ফুইলা যায়। বাড়িত গেলে আর ভাত খাইবার মন চায় না। বাজারে এত টেহার কিনা-বেচা, কেউ বাজারের উন্নয়নে কাম করে না।’

নয়াপাড়া গ্রামের আবু তাহের বলেন, ‘ড্রেনের চারপাশে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। এখান থেকে ডেঙ্গু রোগ বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। সরকার এত উন্নয়ন করছে কিন্তু ড্রেনগুলো আমাদের ঠিক হচ্ছে না।’

দোকান ব্যবসায়ী আবু বকর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। দুর্গন্ধে দোকানে বসে থাকতে পারি না। এ জন্য ক্রেতারাও ঠিকমতো দোকানে আসছেন না। আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিই। এই বাজার থেকে সর্বোচ্চ ট্যাক্স উঠলেও বাজারের উন্নয়ন নেই।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের ড্রেনেজব্যবস্থার অব্যবস্থাপনায় বিপাকে এলাকাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ড্রেন উপচে সড়কে পানি জমে। সেই পানি নামতে সময় লাগে অন্তত চার ঘণ্টা। বেশি বৃষ্টি হলে সারা দিনেও পানি কমে না। তখন কাদাজলে একাকার হয় বাজারসহ রাস্তাঘাট। সময়ের ব্যবধানে সড়কের পানি নেমে গেলেও দুই পাশে জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।’

বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জাহিদুল হক মনির বলেন, ‘ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বাজারের ড্রেন পুনর্নির্মাণসহ উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’

জনদুর্ভোগ লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেনেজ সংস্কার, বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ করাসহ বাজারে শেড নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।

ড্রেনগুলো সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘এরই মধ্যে বাজারের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে। ড্রেনেজব্যবস্থারও উন্নয়ন করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর