বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভ্যালি ছিল ‘ওয়ান ম্যান শো’

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৩৬

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘রাসেল যেসব স্ট্র্যাটেজিতে ব্যবসা করেছেন তাতে ইভ্যালি কোনো লভ্যাংশ পায়নি। তিনি সব গ্রাহককে পণ্য দিতেন না। ১০০ জনের মধ্য ৫ থেকে ১০ জন পুরাতন গ্রাহককে পণ্য দিতেন। কীভাবে দেনা পরিশোধ করবেন, তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না।’

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে ‘ওয়ান ম্যান শো’ চলত বলে দাবি করেছে র‍্যাব।

বাহিনীটি জানিয়েছে, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাসেলের পরিকল্পনাতেই বিভিন্ন লোভনীয় অফার চালু হয়েছিল। এ কারণেই প্রতিষ্ঠানটির দেনা বেড়েছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন শুক্রবার দুপুরে কুর্মিটোলায় বাহিনীর সদরদপ্তরে এসব জানান।

তিনি বলেন, “ইভ্যালি একটি পরিকল্পিত পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। ইট ওয়াজ ‘ওয়ান ম্যান শো’। ইট ওয়াজ রাসেল ইটসেলফ। নিজস্ব বিচার-বিবেচনায় তিনি সব করতেন। তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততা ছিল না।”

তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি শুরু থেকেই লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। ২০১৭ সালে শিশুপণ্যের একটি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে রাসেল ১ কোটি টাকা পান। এই টাকা দিয়ে ইভ্যালি শুরু। অফিসসহ অন্যান্য ব্যয় মিলে প্রতি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা বহন করতে হয়েছে।’

সাধারণ মানুষের লগ্নি করা টাকায় স্পন্সর করে রাসেল ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ার এক নম্বর কোম্পানি করতে চেয়েছিলেন বলে জানান খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘রাসেল যেসব স্ট্র্যাটেজিতে ব্যবসা করেছেন তাতে ইভ্যালি কোনো লভ্যাংশ পায়নি। তিনি সব গ্রাহককে পণ্য দিতেন না। ১০০ জনের মধ্যে ৫ থেকে ১০ জন পুরাতন গ্রাহককে পণ্য দিতেন। কীভাবে দেনা পরিশোধ করবেন তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না।

‘রাসেলের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করা। তিনি বিভিন্ন দেশে ই-কমার্সে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার গ্রাহক ৪৪ লাখ হলেও ৭০ লাখ পর্যন্ত বলতেন। এসব বলে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন।’

র‍্যাব জানায়, গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইভ্যালি কাউকে পণ্য দিতে পারেনি। গ্রাহকরা যখন দীর্ঘদিন ধরে পণ্য পাচ্ছিল না, তখন রাসেল টি১০, টি৭, টি৫ অফার চালু করেন। এই অফারগুলোর মাধ্যমে টুথপেস্ট, টুথব্রাশের মতো সাধারণ পণ্য দিচ্ছিলেন তিনি।

রাসেলের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, তার নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা। অফিস, ওয়্যার হাউস সবই ভাড়া করা। নিজের নামে কোনো ফ্ল্যাটও নেই।

র‌্যাবের ভাষ্য, দিন দিন যে পরিমাণ দেনা বেড়েছে তা পরিশোধের সক্ষমতা না থাকায় রাসেলের পরিকল্পনা ছিল বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দেয়া। বিক্রি করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার লক্ষ্য ছিল তার।

তিনি অর্থপাচার করেছেন কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

র‌্যাব জানায়, ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটির হাতে থাকা সম্পদের মূল্য ৬৫ কোটি টাকা।

আরিফ বাকের নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমা দিয়েও তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন তিনি।

এ মামলায় দুজনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাদের নেয়া হয় র‍্যাবের হেডকোয়ার্টারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশের উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে রাসেল ও শামীমার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক তিন দিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর