দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘এশিয়ার নোবেল’ র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী।
র্যামন ম্যাগসাইসাই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় শুক্রবার সকালে তিনি এ কথা জানান।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে করোনার নতুন কোনো ধরনে সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে আত্মরক্ষার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।
যখন কোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে তখন একে হার্ড ইমিউনিটি বলে। এরপর ধীরে ধীরে ভাইরাসের বিস্তার কমে যায়।
র্যামন ম্যাগসাইসাই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন ‘এশিয়ার নোবেল’ র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ থেকে আবার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। জুলাই মাসে দ্বিতীয় ঢেউ তার চূড়া স্পর্শ করে। আগস্ট থেকে আবার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে মৃত্যু ও শনাক্তের হার।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১০৯ জনের।