বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল রাসেলের

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৫৮

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, দেনা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না ইভ্যালির। এ কারণে সিইও রাসেল চেষ্টা করছিলেন বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দিতে। বিক্রি করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল তার।

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা দিন দিন বাড়ছিল। এমন বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল একে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ইভ্যালির সিইও রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তারের পরের দিন কুর্মিটোলায় নিজেদের সদরদপ্তরে শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় র‌্যাব।

ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, দেনা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না ইভ্যালির। এ কারণে সিইও রাসেল চেষ্টা করছিলেন বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দিতে। বিক্রি করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল তার।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটির হাতে থাকা সম্পদের মূল্য ৬৫ কোটি টাকা।

র‌্যাব জানায়, বিভিন্ন পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে কোম্পানিটি নিয়েছিল ২১৪ কোটি টাকা। ইভ্যালির কাছে বিভিন্ন কোম্পানি ও গ্রাহকের পাওনা ১৯০ কোটি টাকা।

অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলোচিত ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে জন্য তাদের আজকে (বৃহস্পতিবার) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

রাসেল-নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইভ্যালির ভুক্তভোগী অর্ধশতাধিক গ্রাহক বিক্ষোভ করছিল।

ইভ্যালির সিইও রাসেলের বাসায় অভিযানের খবর পেয়ে এসব গ্রাহক বাসার সামনে জড়ো হয়। গ্রাহকদের কেউ কেউ বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হলে তারা আরও বেশি ক্ষতির শিকার হবেন।

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্ণধারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কেউই তাদের অর্থ ফেরত পায়নি।

রেদোয়ান নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ইভ্যালির রাসেলকে যথাযথ নজরদারির মধ্যে রেখে আরও কিছুদিন সময় দেয়া উচিত। একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তাকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত বা পণ্য দিতে বাধ্য করা যেতে পারে। তাকে ধরে নিয়ে গেলে গ্রাহকরা পণ্য বা টাকা কিছুই পাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর