শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নাওডোবা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের নিচ থেকে ওই শিশুর মরদেহ বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
শিশুটি দুই দিন আগে মাদারীপুর থেকে অপহৃত হয় বলে শিবচর থানায় অভিযোগ রয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ।
আটকরা হলেন শিশুটির চাচি নার্গিস আক্তার ও চাচাতো বোন হাফসা।
আড়াই বছরের কুতুবউদ্দিন শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাটসংলগ্ন বাগিয়া গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে।
পরিদর্শক আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিশুর বাবা ইসমাইল বেপারী শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এর পরই শিশুটির সন্ধানে কাজ শুরু করে পুলিশ। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিশুটির চাচি নার্গিসকে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুতুবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে নার্গিসের স্বামী আবুল হোসেন বেপারী মারা যান। এরপর থেকে নার্গিস তার মেয়ে হাফসা ও এক ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামে থাকেন।
শ্বশুরবাড়ির জমি ভাগাভাগি নিয়ে দেবর ইসমাইল বেপারী ও তাদের ভাইয়ের সঙ্গে নার্গিসের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে কুতুবউদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নার্গিস।
মাদারীপুর থেকে কুতুবউদ্দিনকে অপহরণ করেন তিনি। পরে হত্যা করে নিজ বাড়িতে শিশুটিকে মাটিচাপা দেন।
শিশুর চাচা মুছা বেপারী বলেন, ‘আমার ভাই (আবুল হোসেন) মারা যাওয়ার পরেও আমরা ভাবি-বাচ্চাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। বিভিন্ন সময় টাকাপয়সাও দিয়েছি। কিন্তু আমার ভাবি আর ভাইয়ের মেয়ে আমার ভাতিজাকে খুন করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমিসহ পুলিশের একটি টিম শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করি। নার্গিস জানিয়েছেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকার কারণেই ভাতিজা কুতুবউদ্দিনকে হত্যা করেছেন।’