কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সন্তানসম্ভবা সাবিনা ইয়াসমিন। প্রসবের জন্য যাচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেনে ওঠার পরপরই শুরু হয় প্রসব বেদনা।
রাজশাহী আসার আগেই ট্রেনের কামরায় জন্ম নেয় তার কন্যা সন্তান।
ট্রেনের যাত্রী এক নারী চিকিৎসকের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাটোরের আব্দুলপুর স্টেশনের কাছে সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
সাবিনার প্রসব বেদনা উঠলে বিষয়টি ট্রেনের কন্ডাক্টিং গার্ড রুবায়েত হাসান জানতে পারেন। এরপর গার্ড ইনচার্জ আজিমুল হোসেনকে জানালে তিনি সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেন। সেই সঙ্গে ট্রেনের মাইকে একজন চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়া হয়।
মাইকে ঘোষণা শুনে একজন নারী চিকিৎসক এগিয়ে আসেন। তবে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সন্তান প্রসবের পর রাত সাড়ে দশটার দিকে সন্তানসহ সাবিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পৌঁছান রাজশাহী স্টেশনে। তাকে রেলওয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি গুহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্তান প্রসবের বিষয়টি জানার পর আমি রেলওয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করি। ট্রেন থেকে নামার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠিয়েছি।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, হাসপাতালে আসার পরই মা ও নবজাতকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। দুজনই এখন সুস্থ আছে।