চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সুনামগঞ্জ শহরে বসানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তারা বলছেন, এতে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।
ক্যামেরা বসানোর কাজে নিয়োজিত আরএনপি টেকনোলজির পরিচালক রাজিব দাস জানান, এরই মধ্যে শহরের আলফাত স্কয়ার, আব্দুজ জহুর সেতু, পুরাতন শিল্পকলা একাডেমি, সদর হাসপাতাল এলাকা ও পুলিশ লাইনসহ শহরের ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
এসব পয়েন্টে স্থাপন করা ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো মনিটর করা হবে সুনামগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ এবং সদর থানার ওসির কক্ষ থেকে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন আমাদের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখন আর চুরি করা যাবে না।’
মধ্যবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য এটা খুব ভালো হয়েছে। তবে আমাদের দাবি এগুলো যেন মনিটর করা হয়। যদি মনিটরিং না হয় তাহলে ক্যামেরা দিয়ে লাভ কী? আমরা পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য।’
শহরের উপত্যকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বখাটেদের আড্ডা বসে। সিসিটিভি ক্যামেরা যদি পুরো শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়, তাহলে বখাটেদের উৎপাত কমবে।’
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘করোনাকালে হঠাৎ করে ছোট ছোট চুরি বেড়ে গেছে। অপরাধ ঠেকাতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এরই মধ্যে শহরের বেশ কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিজ নিজ স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে বেসরকারি সহযোগিতা, যেমন তারা নিজেরা ক্যামেরা স্থাপন করে আমাদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে দিলে, আমরা যত বেশি সম্ভব এলাকা মনিটরিংয়ে আনার চেষ্টা করব।’