বাংলাদেশে ও এর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল শিথিল করা হয়েছে। ফলে ১০ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরের ২ এপ্রিল থেকে যে বিধিনিষেধ ছিল তা শিথিল করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে ১৪ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয় এমন বিভাগগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসব তথ্য (ssd.gov.bd) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মহামারি কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছে।
চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম আছে, তারা বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। সেজন্য তাদের দিল্লি, কলকাতা বা আগরতলায় বাংলাদেশ মিশন থেকে অনুমতি নিতে হতো। এখন থেকে এটি আর নিতে হবে না।
১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের আর বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
ছয়টি স্থলবন্দর বেনাপোল, আখাউড়া, সোনামসজিদ, হিলি, দর্শনা এবং বুড়িমারীতে সীমান্তে চলাচলের জন্য আগের মতো চালু হবে। এছাড়াও, আরও পাঁচটি স্থলবন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশন (শেওলা, তামাবিল, ভোমরা, বিরল এবং বাংলাবান্ধা) যাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা হবে।