নোয়াখালী সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় স্বর্ণ রাখা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি এবং গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্য সদস্যদের ছোড়া গুলিতে মো. রুবেল নামের এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের আতাশপুর গ্রামের মিলন মিয়ার নতুন বাড়িতে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৩টার দিকে দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর ব্রিকস ফিল্ড এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ রুবেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ রুবেলের বাড়ি দাদপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিলনের পরিবারের সদস্য আমেনা বেগম শিউলি জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে ডাকাত দল। ওই সময় লুট করা স্বর্ণালঙ্কার রুবেলের কাছে রাখা নিয়ে দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এতে রুবেলের মুখোশ খুলে যায়। পরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তাকে লক্ষ করে অন্য ডাকাতরা গুলি ছুড়লে তিনি আহত হন।
আমেনা আরও জানান, ডাকাতি শেষে মালপত্র ও রুবেলকে নিয়ে চলে যায় দলটি। পরে দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর ব্রিকস ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, রুবেলের চোখ, মুখ ও পেটে ছররা গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুধারার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সরেজমিন তদন্তে জানা গেছে, রুবেলের নেতৃত্বে ওই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
ওসি আরও জানান, রুবেলের সঙ্গে সাদ্দাম, কালামসহ ৪-৫ জন সহযোগী ছিল। এ ঘটনায় আমেনা বেগম শিউলি ডাকাতির মামলা করেছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।