ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় নির্যাতনের শিকার সেই শিশু গৃহকর্মীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) আহমার উজ্জামান। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবার হাতে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে সহায়তা তুলে দেন এসপি।
নিউজবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ।
১১ বছরের ওই শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তার বাবা।
মামলায় উপজেলার বাগতা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আছমা আক্তার, তার বোন লিটু ও ভাই সোহাগকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া নয়াপাড়া খালপাড় এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন আছমা আক্তার। গত মে মাসে আছমার ছোট বোন লিটু ও ভাই সোহাগ ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল পানের ভিটা গ্রাম থেকে মাসে এক হাজার টাকা বেতনে ওই শিশুকে গৃহকর্মী হিসেবে আছমার বাড়িতে নিয়ে আসে।
শুরু থেকেই কাজে সামান্য ভুল হলেই শিশুটিকে মারধর করা হতো। মাঝে মধ্যে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত করা হয়। শিশুটিকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও দেয়া হতো না।
গত ৯ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের পর লিটু ও সোহাগ শিশুটিকে তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘আমি চায়ের দোহানদার (দোকানদার)। একবেলা খাইলে আরেকবার খাইবার পারিনা। ভাবছিলাম মাইয়্যাডারে (মেয়েকে) ভালা বাড়িতে কামে দিছি। অহন (এখন) বুঝবার পারছি আমি ভুল করছিলাম। সারা শরীর ব্লেড দিয়া কাইট্টাইলছে! আমি এর বিচার চাই।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ‘মামলার পর আসামিরা পালিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’