অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলোচিত ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘ইভ্যালির সিইও এবং চেয়ারম্যান যে বাসায় থাকেন, মোহাম্মদপুরের সেই বাসায় আমরা বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান পরিচালনা করি। এক ঘণ্টা পর তাদের গ্রেপ্তার করে হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসি। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
ইভ্যালির শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানান কমান্ডার মঈন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে রাসেলের বাসায় বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাবের অভিযান চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন ইভ্যালির ভুক্তভোগী অর্ধশতাধিক গ্রাহক। তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন।
গুলশান থানায় বৃহস্পতিবার সকালে রাসেল ও নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক ভুক্তভোগী গ্রাহক। মামলায় পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা জমা দিয়েও পণ্য না পেয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
মামলার বাদীর অভিযোগ, গত ২৯ মে ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ও তার বন্ধুরা কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। ২৯ মে থেকে ১৯ জুনের মধ্যে ছয়টি অর্ডারের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা পরিশোধ করেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সব টাকা ফেরত প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল।
এদিকে রহস্যজনক আর্থিক লেনদেনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা ইভ্যালির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে ই-কমার্সবিষয়ক জাতীয় কমিটি। বৈঠকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।