ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা তদন্তে গঠন করা কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় পেয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির এ রিপোর্ট আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেদিন পরবর্তী আদেশের জন্য ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
তদন্ত রিপোর্ট দাখিলে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন জমা দিলে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। এ সময় অধ্যক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষের মুখের ভাষা এমন হতে পারে না। এরইমধ্যে লাখ লাখ মানুষ তা শুনেছেন। এ অবস্থায় তাকে সে পদে রাখা সমিচিন হবে না। তাকে পদ থেকে বিরত রাখার আবেদন করেন আইনজীবী।’
এ বিষয়ে গত ৯ আগস্ট শুনানির সময় আদালত বলেছিলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা সত্য হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরণের ভাষা আশা করা যায় না।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।
রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গর্ভনিংবডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। তাদের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি।'