বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওটিসি মার্কেট বাতিল

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৬

বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। বলা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে এসএমই বোর্ডে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ইলেকট্রনিক (ডিমেট) করতে হবে।

পুঁজিবাজারের বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানি নিয়ে গঠন করা ওভার দ্য কাউন্টারের (ওটিসি) কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।

ওটিসিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি যাবে এসএমই বোর্ডে। এর মধ্যে ৭টি উৎপাদনে আছে, বন্ধ আছে ১৬টির উৎপাদন। অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে যাচ্ছে ১৮টি এবং ২৯টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। বলা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে এসএমই বোর্ডে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ইলেকট্রনিক (ডিমেট) করতে হবে।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে কোম্পানিগুলোর কিভাবে লেনদেন হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে। এ ছাড়া ওটিসি থেকে দুই বোর্ডে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগামী এক মাসের মধ্যে ডিমেট বা ইলেক্ট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর করতে হবে।’

উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগজের শেয়ার রাখা, নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়া, লভ্যাংশ প্রদান ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা ৬৫টির বেশি কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে এই মার্কেট গঠন করা হয়।

ওটিসিতে পাঠানোর পর কোম্পানিকে মুনাফায় ফিরিয়ে লভ্যাংশ বিতরণ করে মূল মার্কেটে ফিরেছে ইউসিবিএল ব্যাংক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালি পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

সর্বশেষ চারটি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মনস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড।

এ ছাড়া পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি থাকতে চায় না, সেগুলোকে তালিকাচ্যুত করা হবে। ডিএসই ও সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

ওটিসি থেকে এসএমই বোর্ডে যাচ্ছে যেগুলো

এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ হোটেল লিমিটেড, বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড, গচিহাটা এগ্রিকালচারাল, হিমাদ্রী লিমেটড, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স, ইউসুফ ফ্লোর মিলস। বলা হয়েছে, এ কোম্পানিগুলোর উৎপাদন চালু আছে।

উৎপাদনে না থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে আছে আল আমীন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস, আলফা ট্যোবাকো, আমান সী ফুড, আশরাফ টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ ইলেক্টনিক্স মিটার কোম্পানি, বাংলাদেশ লিফ ট্যোবাকো কোম্পানি, বেঙ্গল ফাইন সিরামিক, বায়োনিক সী ফুড এক্সপোর্ট, ঢাকা ফিশারিজ, লেক্সকো লিমিটেড, মেঘনা শিম্প কালচার লিমিটেড, রাসপিড ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকম লিমিটেড, রাঙ্গামাটি ফুড, থ্যারাপিউটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও জাগো কর্পোরেশন লিমিটেড।

এ বিভাগের আরো খবর