বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ইস্যু হারাচ্ছে না: মোমেন

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৯

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচারণার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, সেটা সম্পর্কে বিশ্ব জানতে পেরেছে। এমনিতে বলা হচ্ছিল, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচারণার কারণে সবাই জেনেছে, তারা নির্যাতিত হয়েছে।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আড়ালে রোহিঙ্গা ইস্যু ঢাকা পড়ছে বলে মনে করছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মত দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনক্লজ সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে মোমেন বলেন, “আফগানিস্তানসহ বিশ্বে চলমান নানা ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু হারিয়ে যাচ্ছে, এ কথা ঠিক নয়। রোহিঙ্গা ইস্যুটা হারিয়ে যাচ্ছে না। যদিও একজন রোহিঙ্গাও রাখাইনে ফেরত যায়নি, কিন্তু আপনাদের প্রশংসা করা উচিত যে, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটা এখন পৃথিবীব্যাপী সবাই জানে।”

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানে রোহিঙ্গা কী জিনিস, এরা কারা এবং এরা অবশ্যই মিয়ানমার সিটিজেন। এটা বাংলাদেশের একটি বড় কৃতিত্ব। আমার আশা, একদিন না একদিন তারা ফেরত যাবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচারণার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, সেটা সম্পর্কে বিশ্ব জানতে পেরেছে। এমনিতে বলা হচ্ছিল, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচারণার কারণে সবাই জেনেছে, তারা নির্যাতিত হয়েছে এবং নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

‘এটা আমাদের বড় অর্জন। এরা যে নির্যাতিত হয়েছে, সেই চিত্রটাও সারা বিশ্ব এখন জানে। এটাতে কোনো ঘাটতি নাই। এ জন্যই আমরা আশাবাদী।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ঢাকার পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে নতুন কোনো প্রস্তাব দেব না। আমাদের যা দেয়ার তা সেই চার বছর ধরেই দিয়ে রেখেছি।

‘এবার আমরা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরব। তবে ওখানে রোহিঙ্গার ওপর যে সাইন্ড ইভেন্ট হবে, সেখানে মোটামুটিভাবে অনেক দেশ স্বেচ্ছায় আমাদের সঙ্গে বসতে চায়।’

জাতিসংঘের এ সম্মেলনে চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো পার্শ্ববৈঠক আছে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জাতিসংঘের কমিটি এখনও বলে নাই, সেখানে মিয়ানমারের ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট দেশটিকে রিপ্রেজেন্ট করবে নাকি মিয়ানমার মিলিটারি গভর্নমেন্ট রিপ্রেজেন্ট করবে। তা এখনও ঠিক হয়নি।’

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ নিয়ে মোমেন বলেন, ‘চায়নার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন মিয়ানমারে সামরিক শাসন। নতুন সামরিক সরকারের সঙ্গে তাদের সরাসরি সম্পর্ক হয় নাই। চায়না দেখছে, চায়না আমাদের বলেছে। তারা সেখানকার পরিস্থিতি স্ট্যাবল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

‘যখন সরকার স্ট্যাবিলাইজ (স্থিতিশীল) হবে, তখন তারা আবার শুরু করবে। এখানে বলে রাখা ভালো, নতুন মিয়ানমার সরকার বলেছে, তারা আগের সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তারা সেগুলোকে সম্মান দেখাবে এবং তারা বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলাপ করে সমাধান করবে। সুতরাং আমরা এখনও আশাবাদী।’

মোমেন আরও বলেন, ‘আসিয়ানের যে নতুন বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর