বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহকর্মীকে ‘ধর্ষণ’, পুলিশের বিরুদ্ধে মীমাংসার অভিযোগ

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৬

গৃহকর্মীর অভিযোগ, দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী লিপি বেগম তাকে বাড়ির কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যান। স্ত্রী একসময় বাড়ির বাইরে গেলে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় লিপি এসে পড়লে তিনি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। তিনি ও তার জা তাকে ওড়না দিয়ে বেঁধে বিকেল তিনটা পর্যন্ত আটকে রেখে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর তারা চুল কেটে তাকে ন্যাড়া করে দেন।

ঢাকার সাভারে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে।

আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার সোনিয়া মার্কেটের মালিকের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। যদিও গৃহকর্তার দাবি, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই নারী বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, তার স্বামী রিকশাচালক ও তিনি দিনমজুর। মাঝে মাঝে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন।

দেলোয়ার ও তার স্ত্রী লিপি বেগম মঙ্গলবার তাকে বাড়ির কাজের জন্য ডেকে নেন। লিপি একসময় বাড়ির বাইরে গেলে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় লিপি এসে পড়লে তিনি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।

লিপি ও তার এক ভাবি তাকে ওড়না দিয়ে বেঁধে বিকেল তিনটা পর্যন্ত আটকে রেখে লাঠি দিয়ে পেটান এবং স্পর্শকাতর স্থানে আয়রনের ছ্যাঁকা দেন। তারা তার নখ তুলে ফেলার চেষ্টাও করেন। এরপর তারা তাকে চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন।

ওই বাড়িরই একজন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন, সঙ্গে চিকিৎসার জন্য আড়াই হাজার টাকা দেন। তবে লিপি সেই টাকাও কেড়ে নেন।

গৃহকর্মীর অভিযোগ, ওইদিনই তিনি আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বুধবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ওই নারীর স্বামী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরশুদিন আমার বউক ওরা কামের কতা কয়্যা ডাকি নিয়া গেছে। তখন বাড়িয়ালি বাড়িত আছিল না। ওইসোম আমার বউক বাড়ির মালিক দেলোয়ার জোর কইরা আকাম করবার গেছিল। পরে ওর বউ আইসা দেইখা আমার বউক বান্দিয়া মারছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে রিকশাত কইরা বাসাত পাঠাইছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরশুদিন থানাত গেছিলাম। পরে আইতে পুলিশ ওই বাড়িত গিয়া বলে কাউরে পায় নাই। গতকাইলকা একটার দিকে আবার পুলিশ দেলোয়ারের বাড়িত গেছিল; আমরাও আছিলাম।

“পরে দারোগা কয়, ‘দাঁড়া দেলোয়ার ভাইয়ের কাছে ট্যাকাপয়সা নিয়া দেই, তোরা যা গা।’ প্রথমে ১৫ হাজার ট্যাকা চিকিৎসার জন্য দিবার চাইছেম। পরে ৮ হাজার ট্যাকা দিয়া দারোগা আমাগো ঘর থাইকা বাইর কইরা দিছে। তখন দারোগা আর দেলোয়ার ঘরের মধ্যে আছিল।”

দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি গিয়ে গেটে তালা দেয়া পাওয়া যায়। মোবাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরশু এক মহিলা কাজ করতে আইছিল। আমি তখন নিচে ছিলাম। আমার বউ আমারে খুব সন্দেহ করে। কামের মহিলারে ওই অযথাই বাইন্দা মারধর করছে।

‘কাল দুপুরে দারোগা ইউনুছ আইছিল। তখন ওই মহিলার চিকিৎসার জন্য আট হাজার ট্যাকা দিছি। কইছি লাগলে আরও দিমু।’

টাকা দিয়ে মীমাংসার অভিযোগ অস্বীকার করে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী জানান, ওই নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেও ধর্ষণের কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি কয়েক বার বাড়ি গিয়ে দেলোয়ারকে পাননি।

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো মামলার এজাহার রেডি করে রাইখা আসছি। ওসি স্যার বলছে, আগে ধইরা নিয়া আসো। দেলোয়ার আর তার বউরে ধরতে বের হইছি ভাই।’

তবে পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো ঘটনা জানি না। এরকম কেউ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে কি না আমার জানা নেই। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।’

এ বিভাগের আরো খবর