বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কিছুদিন পরই পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলবে’

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০০

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে যে দুর্নীতির কথা উঠেছিল, সেটা নিয়ে তো আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। প্রমাণ করতে পারেনি বিশ্বব্যাংক বা কেউই। আজকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আল্লাহর রহমতে পদ্মা সেতু কিন্তু প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা মনে হয় আর কিছুদিন পরেই আমরা সেখানে গাড়ি চালাতে পারব। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই সেখানে চলাচল করা যাবে।’

বিশ্বব্যাংকের পিছুটান এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দিয়ে কিছুদিন পরই গাড়ি চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে যে দুর্নীতির কথা উঠেছিল, সেটা নিয়ে তো আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। প্রমাণ করতে পারেনি বিশ্বব্যাংক বা কেউই। আজকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আল্লাহর রহমতে পদ্মা সেতু কিন্তু প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা মনে হয় আর কিছুদিন পরেই আমরা সেখানে গাড়ি চালাতে পারব। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই সেখানে চলাচল করা যাবে।’

সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের রাখা বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকেই বক্তব্য দিয়েছেন মেগা প্রজেক্টের কী দরকার? সেটা বলবেনই। কারণ বাংলাদেশের উন্নয়নের কী দরকার? যারা এ কথা বলেন, নিজের টাকাপয়সা বাড়লেই, চাকচিক্য বাড়লেই তো হয়ে গেল। বাংলাদেশের মানুষ যাক মরে, সেটাই হলো কথা।’

নিজের রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তা না, সার্বিক উন্নয়ন যাতে দেশের মানুষের হয়, এ জন্য করোনাকালীন আমরা দেশের মানুষকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল আজ দৃশ্যমান। মেট্রোরেলটা আমরা উত্তরা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত যাতে যায় সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঢাকাজুড়েই কিন্তু এই মেট্রোরেল ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করে দেব। যাতে মানুষ অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’

খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও এখনও বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১২ তারিখ থেকে স্কুল খুলে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে বলা হয়েছে। তারা নিজেরা তাদের সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট সবাইকে করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে তাদের সব ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবার সবাইকে, শুধু ছাত্রছাত্রীরা না তাদের পরিবারসহ সবাই যাতে টিকা পায়, সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’

শিক্ষাকে আধুনিক করতে নতুন করে পাঠ্যক্রম নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। করোনাকালে বন্ধ থাকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২৪ কোটি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে

দেশের মানুষের জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ২৪ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, টিকার কোনো সংকট হবে না।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা আল্লাহর রহমতে নেই। ২৪ কোটির মতো ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। ২৪ কোটি টিকা আমরা ক্রয় করব।’

দেশে দ্রুততার সঙ্গে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমাদের দেশে যাতে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, ইতোমধ্যে আমাদের দেশীয় কোম্পানি ও বিদেশি কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। তার বাইরেও আমরা নিজেরা তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যেই ১০ একর জায়গা নেয়া হয়েছে। মুলিউক্যুলার ল্যাব যেখানে টেস্টিং হবে, সেটার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর