দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৬২ জনের শরীরে, যা মোট নমুনার ৫.৯৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১০৯ জনের।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। গত শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। রোববার শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ ছিল। সোমবার শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
দেশে গত দেড় মাস ধরে মৃত্যু ও শনাক্ত নিম্নমুখী।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮০৮টি ল্যাবে ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো দেশে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকে, আর সেটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একই পরিস্থিতিতে থাকে, তাহলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরে নেয়া যায়। সে জন্য বাংলাদেশকে আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ২৬ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে একটি শিশু আছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ৪, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪, ষাটোর্ধ্ব ১৯, সত্তরোর্ধ্ব ৭ ও অশীতিপর দুজন রয়েছেন।
বিভাগ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৮, খুলনায় ৬, বরিশালে ৩, রাজশাহীতে ৪ ও রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।
গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই শর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অনেকে।