নিজের কার্যালয়ের সামনে সাইকেলে চড়ে ঘুরছেন জেলা প্রশাসক। তার সাইকেলে চড়ার কারণ মান যাচাই।
কারণ এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে সাইকেল তৈরি করে ভালো কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহ করেছিল।
গাইবান্ধায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের মাঝে ১৩০টি সাইকেল বিতরণ করা হয়।
তার আগে সাইকেল চালিয়ে দেখে নেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগের সাইকেলগুলোতে কিছু সমস্যা থাকায় সেগুলো বিতরণ করা হয়নি। আজ যাচাই-বাছাই করে শিডিউল অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার সাত উপজেলার ৮১ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের জন্য পোশাক ও সরঞ্জামাদি বিতরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই দরপত্রের ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। মালপত্র সরবরাহের কার্যাদেশ পায় গাইবান্ধা শহরের সিয়াম স্টোরের মালিক ঠিকাদার নজরুল হক।
তবে চুক্তি অনুযায়ী ৮১০টি ইন্ডিয়ান বিএসএ বা হিরো বা দুরন্ত বাংলাদেশি সাইকেল সরবরাহ করার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি। তারা বিভিন্ন নিম্নমানের যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে হিরো সাইকেলের স্টিকার লাগিয়ে পাঠায়।
গত ২৯ জুলাই সদর উপজেলায় ১৩০টি সাইকেল বিতরণের সময় গ্রাম পুলিশরা নিম্নমানের দেখে এগুলো নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর সাইকেল বিতরণ স্থগিত করে সব ফেরত পাঠানো হয়।
ধাপে ধাপে সব উপজেলাতেই ভালো মানের সাইকেল বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।