বরগুনার আমতলীতে ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার সেকান্দারখালী এলাকা থেকে দুপুর ২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা আগে খুনের ওই ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম মুন্সি। তার বাড়ি সেকান্দারখালী এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাগর মুন্সি। তিনি নুরুলের চাচাতো ভাই আলমগীর মুন্সির ছেলে।
নুরুলের ছোট ভাই হাসান মুন্সি জানান, গত বছর নুরুলের স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে আলমগীর মুন্সির মা আলেয়া বেগম ১০ কেজি চাল ধার নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলেয়ার কাছে ওই চাল ফেরত চায় রানী। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আলমগীর, তার ছেলে সাগর এবং জামাতা খলিল সিকদারসহ কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে নুরুলের বাড়িতে হামলা চালায়।
হাসান মুন্সি আরও জানান, একপর্যায়ে সাগর তার চাচা নুরুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় নুরুলকে আমতলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুরুলের স্ত্রী রানী বলেন, ‘মোর চাচি শাশুড়ি (আলেয়া বেগম) গত বছর মোর ধার থে ১০ কেজি চাল ধার নেছেলে। ওই চাল এক বছরেও দেয় নাই। আইজ্জা (বৃহস্পতিবার) সকালে চাচি মোগো ঘরে আইলে মুই হেই চাইল হের ধারে চাই। হেয় পরে হের পোলা, নাতী, নাতীন জামাইরে পাঠাই দেয়। হের নাতী মোর স্বামীরে ছুরি মারছে। মুই এর বিচার চাই।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, ‘নুরুল ইসলামের পেটের পাশে গভীর ক্ষত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আলমগীর ও তার মা আলেয়াকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সাগর ও খলিল পলাতক। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।