দিব্যি চলাফেরা করছেন আছিয়া আক্তার নামের এক নারী। ভোটার হওয়ার পর থেকে ৯ বছর জাতীয় পরিচয়পত্রে জীবিত থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনার টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি মৃত।
আছিয়া আক্তার ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নওধার গ্রামের মুদি দোকানি মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
নিউজবাংলাকে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ‘২০০৮ সালে ভোটার হয়েছি। এরপর জাতীয় নির্বাচনসহ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। কিন্তু ২০২১ সালে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে গেলে জানানো হয়, ভোটার তালিকায় নাম নেই। তখন মনে করেছি হয়তো ভুলবশত তালিকায় নাম আসেনি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানে স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনার টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারি আমি মৃত। তখন হতবাক হয়ে বাড়ি ফিরে আসি। কিছুদিন আগে গণটিকা কর্মসূচিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে টিকা নিয়েছি।’
আছিয়া আক্তারের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে জানানো হয়, আমার স্ত্রী ২০১৭ সাল থেকে মৃত। তখন থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম কেটে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই সুস্থ আছে। সরকারি তালিকায় স্ত্রীর মৃতের বিষয়টি জানতে পেরে অনেকে হাসিঠাট্টা করছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। মৃত থেকে জীবিত হতে নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক মিয়া বলেন, আছিয়া আক্তারকে ২০১৭ সাল থেকে মৃত দেখানো হচ্ছে। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের বাদ দেয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী হয়তো ভুল করেছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করা হবে।