বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকল্পের বাকি ১০ মাস, এখনও নিয়োগ হয়নি ঠিকাদার

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:২৩

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজের জন্য দরপত্র চাওয়া হয়। এরপর আট মাস ধরে চলছে দরপত্রে অংশ নেয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই।

প্রায় ১০ বছর ধরে বেহাল টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। এটি সংস্কারে ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পও পাস হয় একনেকে। ১৫ মাসেও প্রকল্পের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি। সড়কটি এখন যান চলাচলের জন্য প্রায় অনুপযোগী।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজের জন্য দরপত্র চাওয়া হয়। এরপর আট মাস ধরে চলছে দরপত্রে অংশ নেয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগ এখন ওই রাস্তার গর্তগুলো মেরামতের কাজ করছে।

মাদারীপুরের রাজৈর সীমানার টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জ শহর পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার। বছর দশেক ধরেই সংস্কারের অভাবে এর বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদরের গঙ্গারামপুর গ্রামের পাট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর ধরে টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ সড়কে বড় কোনো মেরামতকাজ হয় না। এ কারণে রাস্তার বেশির ভাগ জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তার ওপরের অংশ প্রায় উঠে গেছে। গুদামে মালামাল পরিবহনে বেশ ঝক্কি হয়। যানবাহন চালকরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য অনেক ভাড়া হাঁকেন।

সদরের জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা বাড়ানোর কথা বলে সাত থেকে আট বছর কোনো মেরামত করা হয়নি। এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা প্রায় অসম্ভবই।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, আঞ্চলিক সড়ক থেকে রাস্তাটিকে মহাসড়কে উন্নীত করতে ২০২০ সালের জুনে একনেকে প্রকল্পের অনুমোদন হয়। ছয়টি প্যকেজের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬১২ কোটি টাকা।

এরপর গত বছরের নভেম্বরে প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ হয়। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ঠিকাদার পেতে দরপত্রের আহবান করা হয়। সম্প্রসারণের কাজ হবে বলে বন বিভাগ এর মধ্যে সড়কের দুই পাশের গাছও কেটে ফেলেছে। এখনও ঠিকাদার পায়নি সড়ক বিভাগ।

নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন জানান, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। আসলে প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগসহ আনুষ্ঠানিক কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। তার ওপর করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু কাজ আটকে থাকে। এই বছরের শুরুতে ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

দরপত্রে অংশ নেয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জমা দেয়া দলিল যাচাই-বাছাইয়ে এখন সময় লাগছে। এর মধ্যে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মেরামতের কাজ চলমান রাখা হয়েছে।

ঠিকাদার বাছাইয়ে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এবং সড়ক ও জনপথ গোপালগঞ্জ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাশ বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র নিয়ে মূল্যায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তারা ঠিকাদার নিয়োগ দিলেই কাজ শুরু হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর