বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিয়ার সমাধি: সত্য উদঘাটনে বিএনপিকে কমিটি করার প্রস্তাব

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:২৪

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের লাশ আছে কি নেই এটা প্রমাণ করতে আপনাদের (বিএনপি) সমস্যাটা কোথায়। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারা একটি কমিটি করেন, সরকার সহযোগিতা করবে সত্য উদ্ঘাটন করার জন্য। এতে ভয়ের কী আছে?’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের মরদেহ চন্দ্রিমা উদ্যানে আছে কি না সেটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিশ্চিত করতে বিএনপিকে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেছেন, সেই কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে সরকার।

আইনে সুযোগ থাকলে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেই কমিটির প্রধান হওয়ার প্রস্তাবও রেখেছেন প্রতিমন্ত্রী।

সংসদ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার জাতীয় আরকাইভস বিল, ২০২১-এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রস্তাব রাখেন।

কে এম খালিদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের লাশ আছে কি নেই এটা প্রমাণ করতে আপনাদের (বিএনপি) সমস্যাটা কোথায়। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারা একটি কমিটি করেন, সরকার সহযোগিতা করবে সত্য উদ্ঘাটন করার জন্য। এতে ভয়ের কী আছে?

‘আসেন, আপনাদের দলনেত্রীকে বলেন, যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে বাড়িতে সাজা স্থগিত করে বসবাস করছেন। তারপরও যদি আইনে সুযোগ থাকে, তারই নেতৃত্বে একটি কমিটি করেন। অসুবিধা কোথায়? আমরা চাই সঠিক ইতিহাস লিখতে।’

এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস সব সময় জয়ীর হাতে লিখিত হয় বলেই আমাদের মতো দেশে শত বছর লাগে প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসতে। কারণ যতদিন পর্যন্ত দলীয় চশমা চোখে দিয়ে ইতিহাস দেখা হয়, ততদিন পর্যন্ত যতই আরকাইভ করি, যতই সংশোধনী আনি কোনো লাভ হবে না।’

জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়ে চলমান বিতর্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই বিতর্ক এ জন্য যাতে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া যায়। সরকারের সমস্ত ব্যর্থতা, ভোটচুরি, গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এ সবকিছু থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার জন্যই মৃত্যুর ৪০ বছর পর শহীদ জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে নতুন বিতর্ক।’

রুমিন ফারহানার এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কে এম খালিদ কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখেন।

তিনি বলেন, ‘জন্মের পর মুখে কিছু মধু দেয়, এটা আমাদের সমাজে প্রচলিত। কারও কারও মুখে সেই মধু মনে হয় তাদের পিতা-মাতা দিতে ভুলে গেছেন অথবা তারা সেই মধু খান না। একজন বক্তার ব্যাপারে আমি এটা নিশ্চিত করে বলতেই পারি।’

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নন এমন বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি- এমন বক্তব্য সংসদের কার্যপ্রণালি থেকে বাদ দিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এখানে মাননীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না। উনি পাকিস্তানের দোসর। এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যারা তার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন এবং উনি প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ অষ্টম ব্যাটালিয়নের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।’

‘বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে’

বিএনপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি তো বিএনপিও করে। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান হতে পারেন, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা তো ২৬ মার্চ। সুপ্রিম কোর্ট ক্যাটাগরিলি বলেছে। সবাই বলেছে।’

শামীম হায়দার বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যতদিন বেঁচে ছিলেন, আমি কোনো জায়গায় পড়িনি, শুনিনি, দেখিনি; উনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। বিএনপিকে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে।

‘তারপর আওয়ামী লীগ যদি ইতিহাস বিকৃত করে থাকে, সেটি বন্ধের আহ্বান বিএনপিকে জানাতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর