বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোভিড হাসপাতালে কমেছে চাপ, বেশির ভাগ শয্যা ফাঁকা

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪৩

দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রাজধানীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় কোনো রোগী ভর্তি নেই। এক হাজারের বেশি শয্যার হাসপাতালটিতে এখন মাত্র ১১৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার সবাই এখন আইসিইউতে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসায় দেশের কোভিড হাসপাতালগুলোতে ৮২ শতাংশ শয্যাই এখন ফাঁকা। নতুন রোগী আসছে খুব কম। এতে চাপ কমেছে চিকিৎসক ও নার্সদেরও; ফিরছে স্বস্তি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, করোনা রোগীর সেবায় ১৫ হাজার ৬১৬টি শয্যার মধ্যে বর্তমানে ১২ হাজার ৭৭৫টি শয্যা খালি পড়ে আছে। কমে আসছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যার চাহিদাও। দেশের ৬২ শতাংশ আইসিইউ বেড এখন ফাঁকা। করোনা রোগীর সেবায় ১ হাজার ৩১৪টি আইসিইউ থাকলেও বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৮১৫টি।

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ৩ হাজার ৮৯০ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ২ হাজার ৭৮৩টি, যা শতাংশ হিসেবে ৭১ শতাংশ। আর ৩৮২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা ১৭৬টি, ৪৬ শতাংশ।

তবে সরকারির চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে করোনারোগীর জন্য শয্যা সংখ্যা কম ফাঁকা। বেসরকারি হাসপাতালে খালি পড়ে থাকা শয্যার সংখ্যা ২৭ শতাংশ। আর আইসিইউ ফাঁকা ৩২ শতাংশ।

ডিএনসিসি হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় রোগী নেই

দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রাজধানীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় কোনো রোগী ভর্তি নেই। এক হাজারের বেশি শয্যার হাসপাতালটিতে এখন মাত্র ১১৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের সবাই আইসিইউতে।

এক মাস ধরে এই হাসপাতালে করোনারোগী কমছে তো কমছেই। বিশাল হাসপাতালে এখন সুনশান নীরবতা। এই হাসপাতালে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে বিভিন্ন রোস্টারে ৭৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

তাদের একজন হাবিবুর রহমান বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে জানান, আগের তুলনায় অনেক কম রোগী আসে এখন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো রোগী আসেনি। মূলত গত এক মাস থেকে রোগী আসার প্রবণতা কমে আসছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে এই হাসপাতালের সামনে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স থাকত। রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন ওভাবে নতুন রোগী নেই বললেই চলে।

রোগী কম থাকায় মানুষের আনাগোনাও কম। ফলে এসব আনসার সদস্য এখন অনেকটাই অলস সময় পার করেন। মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে টিকিট কাউন্টার কর্মচারীদের।

হাসপাতালের সামনে চার থেকে পাঁচজন কর্মচারী এবং পুরাতন রোগীদের স্বজনরা অবস্থান করছিলেন। কাউন্টার, অবজারভেশন কক্ষেও নিরবতা। শুধু এ হাসপাতালেই নয় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে এখন স্বস্তির চিত্রই দেখা যায়।

ডিএনসিসি কোভিড-হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, গত এক মাস ধরেই রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন নির্দেশনা এসেছে। করোনা রোগীর সেবার পাশাপাশি নন-কভিড শয্যা চালু করার বিষয়ে।

তিনি বলেন, ‘এই নির্দেশনা পাওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠান হলেও আগামীতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার দেয়া হবে। আমাদের পক্ষ থেকেও কিছু প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি মিললে এবং সংক্রমণ কমে আসলে ডেঙ্গু রোগীদের সেবার ব্যবস্থার পাশাপাশি এই হাসপাতালে করা হবে।’

ধারণক্ষমতার অর্ধেকের কম রোগী রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে। আইসিইউ বেডগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা।

এই হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে হাসপাতালে। আইসিইউ চাহিদা কমতির দিকে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ৮৪৫ শয্যার মধ্যে ৪৭৩ শয্যা এখন ফাঁকা। তবে এই হাসপাতালের ২০টি আইসিইউ বেডের সবকটিতেই রোগী রয়েছেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা একটু কমেছে। তখন ঢাকা ও বাইরের জেলা থেকে আসা রোগীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রোগীর সংখ্যা কমে আসায় আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এতদিন বন্ধ থাকা বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা আবার চালু করা হবে।’

সংক্রমণ কমলেও এখনই আত্মতুষ্টির কিছু দেখছেন না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশে সংক্রমণের হার এখন ৬ শতাশের ঘরে। তবে এটা নিয়ে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। সংক্রমণে যে জায়গাতে আমরা অবস্থান করছি, এটা ধরে রাখা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।

‘আমার যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে পারি তাইলেই সংক্রমণের এই হারটি ধরে রাখা সম্ভব। এর পাশাপাশি যারা টিকার প্রথম ডোজের এসএসএস পেয়েছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নেবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর