পাবনার কালেক্টরেট স্কুলের ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু হত্যায় এক ব্যাংক কর্মচারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হত্যার প্রায় পাঁচ বছর পর বুধবার বিকেল ৫টার দিকে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন।
রায়ে জনতা ব্যাংকের কর্মচারী আব্দুল হাদিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আব্দুল হাদির বাড়ি পাবনা শহরের রাধানগর নারায়ণপুর মহল্লায়।
নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে। সে পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আদালত থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ মিশু প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর সে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মাকে জানায়, সে বন্ধুদের সঙ্গে আছে। বাড়ি ফিরতে দেরি হবে।
তবে সন্ধ্যা হলেও মিশু বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজির পর পাবনা শহরতলীর রামানন্দপুরে একটি লিচু বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন মিশুর বাবা মহসিন পাবনা সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির নামে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলার আসামি আব্দুল হাদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। অন্যদের অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।