চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার শালিকা গ্রামে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মুলাম হোসেন। তার বাড়ি শালিকা গ্রামে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৮ জনের নামে মামলা করেন ওই নারী।
মামলার আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন, হাসান আলী, নাজিরুল ইসলাম, বন্দরভিটা গ্রামের রিপন আলী, মহেশপুর গ্রামের হাবু হোসেন, নান্দবার গ্রামের হামিদুল ইসলাম, আসমানখালী গ্রামের মিজানুর কলু ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন।
এজাহারে বলা হয়, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাড়িতে কাজ করে সন্তান লালন-পালন করতেন। কিছুদিন আগে তার পূর্ব পরিচিত আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুকে একটি কাজ জোগাড় করে দেয়ার কথা বলেছিলেন।
মঙ্গলবার ওই নারীকে আসমানখালী বাজারে আসতে বলেন কলু। সেখানে গেলে একটি দোতলা ভবনের কক্ষে নিয়ে যায় কলু। সেখানে কলুসহ ৮ জন তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই কক্ষে তাকে ফেলে চলে যায় সবাই।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তার আসামিকে এদিন আদালতে তোলা হবে।
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।