বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও বৈঠক করবে বিএনপি: ফখরুল

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৪০

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে মূলত আলোচনা হয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে। আমাদের আরও দুয়েকটি সভা হতে পারে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাচন ও চলমান সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত নিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বুধবার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক এবং সহসম্পাদকসহ মোট ১২২ জন নেতা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে মূলত আলোচনা হয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে। আমাদের আরও দুয়েকটি সভা হতে পারে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

‘আগামী শনিবার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওই বৈঠকে আমরা নির্বাহী কমিটির সদস্য যারা আছেন এবং অন্যান্য পর্যায়ে আরও বৈঠক করব।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠক থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গণমাধ্যমে যে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।’

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,হাবিব উন নবী খান সোহেল, মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, বিলকিস জাহান শিরিন, দুলু, অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাসহ অনেকে।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিএনপি অংশ নেয়। তবে ভরাডবির পর তোলে কারচুপির অভিযোগ।

নির্বাচনের দুই বছরের মতো সময় বাকি থাকতে দলটির পক্ষ থেকে আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে এটি ছাড়াও আরও তিনটি দাবি আছে তাদের। সেগুলো হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার।

বিএনপিকে ভোটে আনতে হলে এই চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোট হবে সংবিধান অনুযায়ী। তবে বিএনপিকে তিনি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে দলের সব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

আগের রাতে স্থায়ী, নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের অধীনে ভোটে না গিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর