ভোলা সদরে দুই বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
ভোলার জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির।
সাজাপাওয়া ব্যক্তির নাম মহব্বত হাওলাদার অপু। তার বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে।
আদালত থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের মহব্বত হাওলাদার অপুর সঙ্গে পাশের খুশিয়া গ্রামের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও স্থানীয় হেলাল উদ্দিনের মেয়ে তানজিম আক্তার মালার প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে মনোমালিন্য হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাতে ঘুমন্ত মালা ও তার ছোট বোন মারজিয়ার গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে মহব্বত।
এতে ঝলসে যায় মারজিয়ার ও মালার শরীরের বিভিন্ন অংশ। তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মালাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে মালার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই মালার মা জান্নাতুল ফেরদৌস মহব্বতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর মহব্বতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, মালার মৃত্যুর ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মহব্বতকে যাবজ্জীবন এবং ৭৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়। আর মারজিয়াকে অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় মহব্বতকে।
আইনজীবী আরও জানান, মহব্বতের দুই সাজাই একসঙ্গে চলবে। অর্থদণ্ডের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেয়া হবে।