শাহবাগের পরীবাগের সাকুরা গলি এলাকার দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে গুরুতর আহত এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
তার নাম ইভানা লায়লা চৌধুরী। তিনি মিরপুরে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল স্কলাস্টিকায় চাকরি করতেন।
তার স্বামী একজন ব্যারিস্টার। তিনি সুপ্রিমকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
ইভানা ২/ক/১৪ নম্বর বাসার সাকুরা গলি এলাকায় নবাব হাবিবুল্লাহ রোডের নয়তলা ভবনের পাঁচ তলায় থাকতেন। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
ছেলে আরমান চৌধুরীর বয়স ৮ আর মেয়ে আয়মা চৌধুরীর বয়স ৬।
বুধবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইভানাকে হাসপাতালে নেয়ার পর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ হাসপাতালে যাননি।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নিহতের বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী জানান, তার মেয়ে অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন।
ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেন, ‘আমি এখন কথা বলব না এই বিষয়ে।’
শাহবাগ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) আব্বাস আলী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত পরীবাগের সাকুরা গলি এলাকায় দুই বিল্ডিংয়ের মাঝ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ইভানার মৃত্যু কীভাবে হলো, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। এস আই আব্বাস আলী বলেন, ‘বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’