বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিএনজি স্টেশন বন্ধ ৪ ঘণ্টা, কার্যকর রোববার

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৩০

এর আগে ৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখার কথা জানানো হলেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যুতের চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প চাপ পরিস্থিতি নিরসনে রোববার থেকে বিদ্যুতের দৈনিক পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনসমূহে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।’

বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে দিনে ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা সংশোধন করেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে ৪ ঘণ্টা।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে রোববার থেকে।

বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিদ্যুতের চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প চাপ পরিস্থিতি নিরসনে রোববার থেকে বিদ্যুতের দৈনিক পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনসমূহে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।’

এর আগে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন।

বুধবার থেকেই বিষয়টি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পরে তা পিছিয়ে দেয়া হয়।

তবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুল ফাত্তাহ্‌র সঙ্গে দেখা করে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ রাখার দাবি জানায়।

ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, ‘৬ ঘণ্টা যে বন্ধের কথা বলা হয়েছে, এতে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাই আমরা ওনাদের সঙ্গে আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। ওনারা আমাদের আলোচনাগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত হবে।’

সে সময় পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা পিক আওয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলে আশা করছি সেটা আপনাদের জানাতে পারব।’

গ্যাস-সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরেই প্রায়ই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছিল। তবে বিদেশ থেকে তরল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই পথে আর হাঁটেনি সরকার। তবে এলএনজি নিয়েও এখন সংকট তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে কিছুটা ঘাটতি পড়েছে। সেই ঘাটতি পূরণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক রাখতে চায় সরকার।

এই মুহূর্তে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫৭টি। যেখানে মোট উৎপাদনক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি।

এলএনজি ঘাটতি থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন কমবে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করাও কঠিন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল রাখার কথা বলা হলেও অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে তুলে নেয়া হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর