রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৭ জনকে রিমান্ড ফেরত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অপর আসামিরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও রফিকুল ইসলাম খান এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেন।
ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার ভক্ত নিউজবাংলাকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ মিয়া রিমান্ডে থাকা ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ রিপোর্ট জমা না দেয়া পর্যন্ত তাদের জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে জড়িত বিধায় জামিনে মুক্তি পেলে পুনরায় একই রকম কাজ করে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাবে।’
দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রোধ এবং নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষ্যে আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইজ্জত উল্লাহ, আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও রফিকুল ইসলাম খান অসুস্থ থাকায় তাদের চিকিৎসার আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা এলাকা থেকে গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরদিন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়। ওই রিমান্ড শেষে ১২ সেপ্টেম্বর মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম নামে দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর গোলাম পরওয়ারসহ ৫ জনকে আরও দুই দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেনকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
পুলিশ জানায়, জামায়াতের নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাসান মাসুদ মামলাটি করেন।