চার ক্যামেরা বিশিষ্ট একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে কমলাপুরের পেন্টাগন হোটেলের সামনে মারামারি হয় দুই ভাসমান যুবকের। একজনের কাছে থাকা কাঁচি দিয়ে অপরজনের বুকে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ৩৮ উত্তর কমলাপুরের পেন্টাগন হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত ওই যুবকের নাম জানা যায়। তার নাম হৃদয় ওরফে আলিফ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার হৃদয়ের মা মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। তার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে হত্যার বিবরণ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ‘হৃদয় এই এলাকায় ভাসমান হিসেবে বসবাস করছিল। সোমবার হৃদয়ের হাতে চার ক্যামেরার একটি ভিভো মোবাইল ফোন দেখা যায়। সেটি নিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে আরেক ভাসমান যুবক ফাহিমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি লেগে যায়। তখন ফাহিম তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে আঘাত করলে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।’
এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফাহিমের বিষয়ে তথ্য পাই। তাকে বুধবার সকালে মতিঝিলের যুগান্তর গলি থেকে গ্রেপ্তার করি। তার দেয়া তথ্য মতে, মতিঝিলের সিরাজ ভবনের পাশে ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত কাঁচি ও ফাহিমের গায়ে থাকা রক্তমাখা টি-শার্ট।’
ফাহিম আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই মিজানুর।