চলতি মাসের ২৭ তারিখের মধ্যে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের মঙ্গলবারের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হলেও এখনই খুলছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আটকে থাকা দুই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষেই ক্যাম্পাস খোলার চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার নিউজবাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনে যেহেতু পরীক্ষা আছে, তাই এখন ক্লাস হওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। এখন পরীক্ষাটা হচ্ছে প্রধান বিষয়। দুই সেমিস্টার হওয়ার পরই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এর আগে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, সম্ভবও নয়।’
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘আসলে পরীক্ষাটাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তাই একসঙ্গে পরীক্ষা নেয়া ও ক্লাস নেয়া সম্ভব নয়।'
টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় আমাকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। ওনার অনুপস্থিতিতে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ ও সংকটের বিষয়ে তাদের জানাব।
‘এরপর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল সেন্টারে হোক বা বুথ বসিয়ে কিংবা ক্যাম্পাসের আশপাশের কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে টিকার রেজিস্ট্রেশন, রেজিস্ট্রেশন করেছে টিকা পাচ্ছে না কিংবা এক ডোজ নেয়া হয়েছে অন্যটি পাচ্ছে না এমন সমস্যায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবারের বৈঠকের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবে। তবে অবশ্যই টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ডটা থাকতে হবে।
‘যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্য তো অ্যাপস আসবেই বা যেভাবেই হোক টিকার ব্যবস্থা হবে৷ আর কেউ যদি নতুন করে এনআইডি করতে চায় সেক্ষেত্রেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাধান্য পাবে।’