করোনার বছরেও আগের বছরের তুলনায় বেশি আয় করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, সম্পদমূল্যও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। তবে তারা লভ্যাংশ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বছরে তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১২ পয়সা আয় করেও সম পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
অর্থাৎ করোনার বছরে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮৬ পয়সা বা ২৭. ৫৬ শতাংশ।
কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। ৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৬২ টাকা ৪৭ পয়সা।
এক বছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে ৭ টাকা ৮৬ পয়সা বা ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
কোম্পানিটির লভ্যাংশ নিতে চাইলে শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ৬ অক্টোবর। ৭ অক্টোবর রেকর্ড ডেটে কোম্পানির লেনদেন বন্ধ থাকবে।
আগামী ১০ নভেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে এই লভ্যাংশ শেয়ারধারীদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত হবে।
করোনার বছরেও আয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন হাউজিং এর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আগের যে প্লট বিক্রি ছিল, তার ইনস্টলমেন্ট তো আসছে। ফলে আয় কমেনি। আবার নতুন প্রজেক্ট শুরু করতে পারিনি বলে ব্যাংকের ঋণ কমেছে। এটি ছাড়াও নানা কারণে কোম্পানির খরচ কমেছে। মুনাফা বেড়েছে।